Editor's Vids

শ্রম আইন এর আলোকে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী

ইউনিয়ন (Union) কি?
ইউনিয়ন অর্থ হলো-মিল, মিলন,ঐক্য, সংযোগ, সংঘ। অর্থাৎ কতগুলো সুনির্দিষ্ট লড়্গ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করাই হলো ইউনিয়ন।
শিল্প (Industry) কি?
শিল্প অর্থ যে কোন ব্যবসা, বাণিজ্য, উৎপাদন, বৃত্তি, পেশা, চাকুরি বা নিয়োগ।
প্রতিষ্ঠান (Establishment) প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ (Group of Establishment) কি?
প্রতিষ্ঠান অর্থ কোন দোকান, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা বাড়ি-ঘর বা আঙ্গিনা যেখানে কোন শিল্প পরিচালনার জন্য শ্রমিক-কর্মচারী (Worker) নিয়োগ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানপুঞ্জ অর্থ একই অথবা বিভিন্ন মালিকের অধীন কোন নির্দিষ্ট এলাকায় এমন একাধিক প্রতিষ্ঠান যেগুলোতে একই প্রকারের বা ধরণের শিল্প পরিচালিত হয়।
ট্রেড ইউনিয়ন কি?
ট্রেড ইউনিয়ন হলো সাধারণতঃ শিল্প বা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ অথবা শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের অথবা মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের সঙ্গে মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের অথবা কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের অথবা কর্মচারীদের সঙ্গে কর্মচারীদের অথবা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের সাথে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে এবং বৈধ কোন ¯^v_© রড়্গার উদ্দেশ্যে শ্রমিক-কর্মচারী (Worker) অথবা মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের দ্বারা গঠিত কোন বিধিবদ্ধ সংঘ বা সংস্থা বা ফেডারেশন। ট্রেড ইউনিয়নের কাজ হচ্ছে এর সদস্যদের ¯^v_© উন্নয়ন করা এবং লড়্গ্য অর্জনে মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের সঙ্গে দরকষাকষি করা, প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা করা নয়
ট্রেড ইউনিয়ন আইন ১৯২৬ এর ধারা ১৩ এবং শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ১৪ এর বিধানের অধীনে একটি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ট্রেড ইউনিয়ন
নির্বাহী কমিটি কর্মকর্তা বলতে কি বুঝায়?
কোন ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে নির্বাহী কমিটি অর্থ এমন একদল ব্যক্তি, ইহা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, যাদের উপর ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভার ন্যসত্ম আছে।
কোন ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে কর্মকর্তা অর্থ ইহার নির্বাহী কমিটির কোন সদস্য, কিন্তু কোন নিরীড়্গক বা আইন উপদেষ্টা ইহার অনত্মর্ভূক্ত হবে না।
ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণে কোন আইন বা বিধি রয়েছে কিনা?
ব্রিটিশ ভারতের শাসনামলে এ বিষয়ে দু’টি আইন প্রচলিত ছিল, যথাঃ (১) দি ট্রেড ইউনিয়ন্স এ্যাক্ট, ১৯২৬ এবং (২) দি ট্রেড ডিসপিউটস এ্যাক্ট, ১৯২৯। পরবর্তীতে ভারত সরকার যুগোপযোগী করে দি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসপিউটস এ্যাক্ট, ১৯৪৭ আইনটি জারি করে। পাকিস্থান আমলে এর ব্যবহার অব্যাহত থাকে। পাকিস্থান সরকারও সময়ের চাহিদায় দি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসপিউটস এ্যাক্ট, ১৯৪৭ বাতিল করে তদস্থলে দি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসপিউটস অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৯ জারি করে। পাকিস্থান সরকার এর গুরম্নত্ব বিবেচনায় পরবর্তীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (অর্থাৎ অর্ডিন্যান্স নং-২৩, ১৯৬৯) জারি করে।
বাংলাদেশ ¯^vaxb হওয়ার পর পাকিস্থান সরকার এর নিকট হতে অন্যান্য আইনের সাথে এ আইনটিও গ্রহণ করে। পরবর্তীতে দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখে এ আইনটি ১৯৭৭, ১৯৮০, ১৯৮৫, ১৯৮৯, ১৯৯০ এবং ১৯৯৩ সনে সংশোধন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা পরিবর্তন করা হয়। ২০০৬ সালে আইনটি বাতিল করে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ নামে নতুন আইন জারি করে উক্ত আইনটিও ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন সময়ে সংশোধন হয়ে সর্বশেষ ২০১৩ সালে সংশোধিত হয়ে বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। বর্তমানে ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এসব আইন দ্বারা।
ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণে ১৯৭৭ সালে শিল্প সম্পর্ক বিধিমালা জারি করা হয়। অদ্যবধি এ সংক্রানত্ম আর কোন বিধি জারি না হওয়ায় অদ্য পর্যনত্ম তা বলবৎ আছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর আলোকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০০৮ এর প্রাথমিক খসড়া জারি করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি বিধিমালাটি চূড়ানত্ম অনুমোদন দেয়া হয়নি।

শ্রম আইন প্রযোজ্য কোন কোন ড়্গেত্রে?
শ্রম আইন, ২০০৬ মোতাবেক নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বা শ্রমিক-কর্মচারীগণের (Worker) উপর প্রযোজ্য হবে না। যথাঃ
(ক)       সরকারের বা সরকারের অধীনস্থ কোন অফিস;
(খ)       সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস;
(গ)        সমরাস্ত্র কারখানা;
(ঘ)        অসুস্থ, অড়্গম, বৃদ্ধ, দুঃস্থ, প্রতিবন্ধী, এতিম, পরিত্যাক্তা মহিলা বা শিশু অথবা বিধবাদের চিকিৎসা, যত্ন বা সেবার জন্য পরিচালিত কিন্তু             মুনাফা বা লাভের লড়্গ্যে পরিচালিত নয়, এরূপ কোন প্রতিষ্ঠান;
(ঙ)        প্রকাশ্য মেলায় বা বাজারে ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে স্থাপিত দোকানপাট বা স্টল;
(চ)        প্রকাশ্য প্রদর্শনীতে ইহার প্রয়োজনে স্থাপিত এমন দোকানপাট বা স্টল যেখানে শুধু খুচরা বেচাকেনা চলে;
(ছ)        মুনাফা লাভের জন্য পরিচালিত নয় এমন শিড়্গা, প্রশিড়্গণ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান;
(জ)       মুনাফা লাভের জন্য পরিচালিত নয় এমন ছাত্রাবাস বা মেস, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার;
(ঝ)       ২য় অধ্যায়ের প্রয়োগের ড়্গেত্রে সরকারের মালিকানাধীন এবং সরকার কর্তৃক সরাসরি ভাবে পরিচালিত এমন কোন  দোকান বা শিল্প বা                 বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, যেখানে শ্রমিকগণ (Worker) সরকারি কর্মচারীদের উপর প্রযোজ্য আচরণ  বিধি দ্বারা পরিচালিত হন;
(ঞ)       এমন কোন শ্রমিক যার নিয়োগ এবং চাকুরির শর্তাবলী সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬২, ৭৯, ১১৩ বা ১৩৩ এর অধীন  প্রণীত আইন বা বিধি             দ্বারা পরিচালিত হয়;
তবে শ্রম আইন, ২০০৬ এর দ্বাদশ, ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ অধ্যায় প্রয়োগের ড়্গেত্রে নিম্ন লিখিত প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কোন শ্রমিক (Worker) এই নিষেধের অনত্মর্ভূক্ত হবে না যথা ঃ
(1) রেল বিভাগ;
(2)   ডাক, তার টেলিফোন বিভাগ;
(3)   সড়ক ও জনপথ বিভাগ;
(4)   গণপূর্ত বিভাগ;
(5)   MY¯^v¯’¨ প্রকৌশল বিভাগ;
(6)   বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়;
(ট)        দফা ক, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ ও জ-তে উলেস্নখিত কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কোন শ্রমিক (Worker);
(ঠ)        দ্বাদশ, ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ অধ্যায়ের প্রয়োগের ড়্গেত্র ছাড়া অন্য কোন ড়্গেত্রে, কোন নাবিক;
(ড)        ষোড়শ অধ্যায়ের প্রয়োগের ড়্গেত্র ছাড়া অন্য কোন ড়্গেত্রে, সমুদ্রগামী জাহাজ;
(ঢ)        এমন কৃষি খামার যেখানে সাধারণতঃ পাঁচ জনের কম শ্রমিক (Worker) কাজ করে;
(ণ)        গৃহ পরিচারক এবং
(ত)       এমন কোন প্রতিষ্ঠান যা ইহার মালিক কর্তৃক পরিবারের সদস্যগণের সাহায্যে পরিচালিত হয় এবং যেখানে মজুরীর   বিনিময়ে কোন শ্রমিক (Worker) নিযুক্ত থাকে না।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগে শ্রমিক-কর্মচারী (Worker) ট্রেড ইউনিয়ন গঠন পরিচালনার ড়্গেত্রে শ্রম আইন প্রযোজ্য কিনা?
সরকার কর্তৃক প্রণীত শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১২তম, ১৩তম এবং ১৪তম অধ্যায়, বাংলাদেশ ডাক বিভাগে কর্মরত স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী নন-গেজেটেড পদের সকল শ্রমিক-কর্মচারীগণের (Worker) ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনার ড়্গেত্রে প্রযোজ্য।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে তথা বাংলাদেশ ডাক বিভাগে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন বা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে কিনা?
যেহেতু সরকার কর্তৃক প্রণীত শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১২দশ, ১৩দশ এবং ১৪দশ অধ্যায়, নিম্ন লিখিত প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কোন শ্রমিক-কর্মচারী (Worker) এই নিষেধের অনত্মর্ভূক্ত হবে না বলা হয়েছে যথা ঃ
(1) রেল বিভাগ;
(2)   ডাক, তার টেলিফোন বিভাগ;
(3)   সড়ক ও জনপথ বিভাগ;
(4)   গণপূর্ত বিভাগ;
(5)   MY¯^v¯’¨ প্রকৌশল বিভাগ;
(6) বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়;
সেহেতু, ত্রয়োদশ অধ্যায় অনুযায়ী ডাক বিভাগে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের (Worker) ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, সদস্য হওয়া কিংবা কার্যক্রম পরিচালনা করা আইনগত ভাবে সম্পূর্ণ বৈধ

১০ শ্রম আইনের আওতায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক বা কর্মচারী কারা?
শ্রমিক (Worker) অর্থ শিড়্গাধীনসহ কোন ব্যক্তি, তার চাকুরির শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন, যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরি বা কোন ঠিকাদারের মাধ্যমে মজুরী বা অর্থের বিনিময়ে কোন দড়্গ, অদড়্গ, কায়িক, কারিগরী, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা ক্ল্যারিকাল (কেরাণীগিরি বা করণিক) কাজ করার জন্য নিযুক্ত হয়, কিন্তু প্রধানতঃ প্রশাসনিক, তদারকি বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজ, ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড বা নিরাপত্তা স্টাফ হিসেবে বা গোপণীয় সহকারী হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তি ইহার অনত্মর্ভূক্ত হবে না।

শ্রমিক ও শ্রমজীবি (Worker & Workmen)  বলতে বুঝায় মালিকের সংজ্ঞায় পড়ে না এমন যে কোন ব্যক্তি, নিয়োগের শর্ত ব্যক্তই হোক বা অব্যক্তই হোক, শিড়্গানবীশ হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তিসহ কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পের চাকুরিতে নিযুক্ত আছে এবং নিযুক্তি মজুরী বা পারিতোষিকের ভিত্তিতে সরাসরিভাবে বা ঠিকাদারের মাধ্যমে কোন দড়্গ, অদড়্গ, কায়িক, কারিগরী বা করণিক কাজ করার জন্য নিযুক্ত ব্যক্তি, উক্ত নিযুক্তি যেভাবে হোক না কেন এবং কোন শিল্প বিরোধের প্রশ্নে এ অধ্যাদেশের অধীনে কার্যক্রম শুরম্ন করার বেলায় সে সকল ব্যক্তি এ সংজ্ঞায় পড়বে, যাদের শাসিত্মমূলক ভাবে বরখাসত্ম, কর্মচ্যুত, ছাঁটাই অথবা লে-অফ করা হয়েছে অথবা উক্ত বিরোধের সূত্র ধরে বা উক্ত বিরোধের কারণে অন্য কোন ভাবে চাকুরি হতে অপসারিত হয়েছে অথবা যার শাসিত্মমূলক পদচ্যুতি, বরখাসত্ম, লে-অফ অথবা অপসারণের কারণে উক্ত বিরোধের উৎপত্তি হয়েছে।
[ধারা ২(৬৫) শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ ধারা ২(২৮)]

১১ মজুরী (Wages) কি?
মজুরী অর্থ টাকায় প্রকাশ করা হয় বা যায় এমন সকল পারিশ্রমিক, যা চাকুরির শর্তাবলী প্রকাশ্য বা উহ্য যেভাবেই থাকুক না কেন পালন করা হলে কোন শ্রমিক-কর্মচারীকে তার চাকুরির জন্য বা কাজ করার জন্য প্রদেয় হয় এবং উক্তরূপ প্রকৃতির অন্য কোন অতিরিক্ত প্রদেয় পারিশ্রমিকও ইহার অনত্মর্ভূক্ত হবে, তবে নিম্নলিখিত অর্থ ইহার অনত্মর্ভূক্ত হবে না। যথাঃ
(ক)       বাসস্থান সংস্থান, আলো, পানি, চিকিৎসা সুবিধা বা অন্য কোন সুবিধা প্রদানের মূল্য অথবা সরকার কর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে এরূপ কোন সেবার মূল্য;
(খ)        অবসর ভাতা তহবিল বা ভবিষ্য তহবিলে মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ কর্তৃক প্রদত্ত কোন চাঁদা;
(গ)        কোন ভ্রমণ ভাতা অথবা কোন ভ্রমণ রেয়াতের মূল্য;
(ঘ)        কাজের প্রকৃতির কারণে কোন বিশেষ খরচ বহন করবার জন্য কোন শ্রমিককে প্রদত্ত অর্থ।
            বিশেষ সংজ্ঞা বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকলে, ১০ম অধ্যায়ে “মজুরী” বলতে, ধারা   ২(৪৫) এ মজুরী বলতে যে অর্থ করা হয়েছে তা এবং নিম্নলিখিত পাওনাগুলোও ইহার অনত্মর্ভূক্ত হবে। যথাঃ
(ক)       নিয়োগের শর্ত মোতাবেক প্রদেয় কোন বোনাস অথবা অন্য কোন অতিরিক্ত পারিশ্রমিক;
(খ)        ছুটি, বন্ধ অথবা অধিকাল কর্মের জন্য প্রদেয় কোন পারিশ্রমিক;
(গ)        কোন আদালতের আদেশ অথবা পড়্গদ্বয়ের মধ্যে কোন রোয়েদাদ বা নিষ্পত্তির অধীনে প্রদেয় কোন পারিশ্রমিক;
(ঘ)        চাকুরির অবসান, ছাটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, পদত্যাগ, অবসর, বরখাসত্ম অথবা অন্য যেকোন ভাবেই হোক না কেন, এর কারণে কোন চুক্তি বা আইনের অধীনে প্রদেয় কোন অর্থ; এবং
(ঙ)        লে-অফ অথবা সাময়িক বরখাসেত্মর কারণে প্রদেয় কোন অর্থ।
                                                                                                                    [ধারা ২(৪৫) ১২০]

১২ মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ বলতে কাদের বুঝায়?
কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ অর্থ এমন কোন ব্যক্তি যিনি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির চুক্তি মোতাবেক শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ করে এবং নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণও ইহার অনত্মর্ভূক্ত হবে। যথাঃ
(ক) উক্ত ব্যক্তির কোন উত্তরাধিকারী, অভিভাবক, হসত্মানত্মর মূলে উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধি;
(খ) উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বা উহার ব্যবস্থাপনা বা নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি;
(গ) সরকার কর্তৃক বা সরকারের কর্তৃত্বাধীন পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানের ড়্গেত্রে, এতদউদ্দেশ্যে নিয়োজিত কোন কর্তৃপড়্গ অথবা এরূপ কোন কর্তৃপড়্গ না থাকলে, সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রধান;
(ঘ) কোন স্থানীয় কর্তৃৃপড়্গ কর্তৃক বা ইহার পড়্গে পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানের ড়্গেত্রে, এতদউদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা অথবা এরূপ কোন কর্মকর্তা না থাকলে, ইহার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা;
(ঙ) অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ড়্গেত্রে, ইহার মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ এবং ইহার প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব, প্রতিনিধি অথবা ইহার কাজ-কর্মের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কোন কর্মকর্তা;
(চ) মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ ব্যতিত, অন্য কোন ব্যক্তির দখলে আছে এরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের ড়্গেত্রে, উক্ত প্রতিষ্ঠান দখলকারী ব্যক্তি বা ইহার নিয়ন্ত্রণকারী চূড়ানত্ম ব্যক্তি অথবা ব্যবস্থাপক অথবা উক্ত কাজ-কর্মের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কোন উপযুক্ত কর্মকর্তা।
বিশেষ বিধানঃ  সরকারের কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অথবা কোন স্থানীয় কর্তৃপড়্গের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর মধ্যে শ্রমিক বা শ্রমজীবি শ্রেণীর মধ্যে পার্থক্য টানার উদ্দেশ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপিত ব্যক্তিবর্গ যারা উচ্চ পর্যায়ের ম্যানেজারিয়াল, সেক্রেটারিয়েল, ডাইরেকশনাল, সুপারভাইজরী অথবা এজেন্সী স্টাফ এর পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গও মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ শ্রেণীর অনত্মর্ভূক্ত
·        শ্রমিক-কর্মচারী পদত্যাগ পত্র দাখিল করে, মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ কর্তৃক সেটি গৃহীত হয়;
·        পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপড়্গ (মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ)
১৩ কোন শিল্প বা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে কি কি শর্তপূরণ করা আবশ্যক?
কোন শিল্প বা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে হলে নিম্নলিখিত নিয়মাবলী পালন বা শর্তাবলী পূরণ করা আবশ্যক যথাঃ
(1)     প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত বা কর্মরত মোট কর্মচারী বা শ্রমিকগণের কমপড়্গে শতকরা ৩০ভাগ কর্মচারী বা শ্রমিককে সদস্য হতে হবে;
(2)   প্রত্যেক সদস্যকে ডি-ফরম পূরণের মাধ্যমে সদস্যপদে অনত্মর্ভূক্ত হতে হবে;
(3)   “অন্য কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য নয়” এই মর্মে প্রত্যেক সদস্যকে অঙ্গীকার করতে হবে;
(4)   যে প্রতিষ্ঠানের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা হবে, সেই প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী বা শ্রমিক-কে কর্মরত থাকতে হবে;
(5)   নির্বাহী কমিটি গঠনের ড়্গেত্রে কর্মকর্তাগণের সংখ্যা যা বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ৫জনের কম বা ৩৫জনের বেশি হবে না।
১৪ রেজিস্ট্রেশন ব্যতিত ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ রয়েছে কিনা?
শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৯২ মোতাবেক কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রিকৃত না হলে বা কোন কারণে এর রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হলে তা ট্রেড ইউনিয়ন হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
একই আইনের ধারা ২৯৯ মোতাবেক কোন ব্যক্তি অরেজিষ্ট্রিকৃত বা বাতিল হয়েছে এমন কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রিশন প্রাপ্তি সংক্রানত্ম কোন কর্মকান্ড ব্যতিত অন্য কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করলে অথবা কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত বা প্ররোচিত করলে অথবা উক্তরূপ কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের জন্য সদস্য চাঁদা ব্যতিত অন্য কোন চাঁদা আদায় করলে ৬(ছয়) মাস পর্যনত্ম কারাদন্ড অথবা দুই হাজার টাকা পর্যনত্ম অর্থ দন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবে

১৫ একই ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন এর সদস্য হতে বা থাকতে পারবে কিনা?
শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৯৩ মোতাবেক কোন মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ অথবা কোন শ্রমিক-কর্মচারী একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক ট্রেড ইউনিয়নে একই সময়ে সদস্য হতে বা থাকতে পারবে না।
শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৩০০ মোতাবেক কোন ব্যক্তি একই সময়ে কোন প্রতিষ্ঠানে একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হলে বা থাকলে তিনি ৬(ছয়) মাস পর্যনত্ম কারাদন্ড অথবা দুই হাজার টাকা পর্যনত্ম অর্থ দন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবে
১৬ মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের পড়্গে অসৎ শ্রম আচরণ কি?
কোন মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের পড়্গে ট্রেড ইউনিয়ন অথবা তাদের পড়্গে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি-
a)      (ক) কোন চাকুরি চুক্তিতে সংশিস্নষ্ট শ্রমিকের কোন ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করা অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়নে ইহার সদস্যপদ চালু রাখার অধিকারের উপর বাঁধা m¤^wjZ কোন শর্ত আরোপ করবে না;
b)      (খ) কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা আছেন অথবা নহেন এ অজুহাতে তার চাকুরিতে নিয়োজিত করতে অথবা নিয়োজিত রাখতে A¯^xKvi করবে না;
c)     (গ) কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা আছেন বা নহেন এ অজুহাতে তার চাকুরিতে নিযুক্তি, পদোন্নতি, চাকুরির শর্তাবলী অথবা কাজের শর্তাবলী m¤^‡Ü তার বিরম্নদ্ধে কোন বৈষম্য করবে না;
d)     (ঘ) কোন শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য অথবা কর্মকর্তা আছে অথবা হতে চান, অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য প্ররোচিত করে, এ কারণে অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, কার্যকলাপ ও ইহার প্রসারে অংশগ্রহণ করে এ কারণে তাকে চাকুরি হতে বরখাসত্ম, ডিসচার্জ অথবা অপসারণ করা যাবে না বা উহা করার ভয় প্রদর্শন করা যাবে না অথবা তার চাকুরি কোন প্রকার ড়্গতি করার হুমকি দেয়া যাবে না;
e)      (ঙ) কোন শ্রমিককে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন সুযোগ দিয়ে বা সুযোগ দেয়ার প্রসত্মাব করে অথবা তার জন্য সুযোগ সংগ্রহ করে অথবা সংগ্রহ করার প্রসত্মাব দিয়ে তাকে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হতে বিরত রাখার জন্য অথবা উক্ত পদ ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রলুদ্ধ করবে না;
f)     (চ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক, শারিরীক আঘাত, পানি, শক্তি এবং টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করে অথবা অন্য কোন পন্থা Aej¤^b করে কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি কর্মকর্তাকে কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়ার বা নিষ্পত্তিনামায় দসত্মখত করার জন্য বাধ্য করবে না বা বাধ্য করার চেষ্টা করবে না;
g)      (ছ) ধারা ২০২ এর অধীন কোন নির্বাচনে হসত্মড়্গেপ করবে না অথবা কোন ভাবে ইহা প্রভাবিত করবে না;
h)      (জ) ধারা ২১১ এর অধীন কোন ধর্মঘট চলাকালে অথবা অবৈধ নহে এরূপ কোন ধর্মঘট চলাকালে, কোন নতুন শ্রমিক নিয়োগ করবে না, তবে সালিশ যদি এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ কর্মবিরতির কারণে তার যন্ত্রপাতি অথবা কোন স্থাপনার ভীষণ ভাবে ড়্গতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা আছে, তা হলে তিনি প্রতিষ্ঠানের যে বিভাগে বা শাখায় অনুরূপ ড়্গতি হবার সম্ভাবনা আছে, সেখানে সীমিত সংখ্যক অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করতে অনুমতি দিতে পারবে;
i)      (ঝ) অংশগ্রহণকারী কমিটির কোন সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে ব্যর্থ হবে না;
j)    (ঞ) কোন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন পত্রের উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে না;
k)      (ট) ধারা ১৮৭ এর বিধান ভঙ্গ করে কোন ট্রেড ইউনিয়ন এর কর্মকর্তাকে বদলী করবে না;
l)    (ঠ) কোন বেআইনী লক-আউট শুরম্ন করবে না বা চালু রাখতে না অথবা ইহাতে অংশগ্রহণের জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করবে না।
                                                                                                                            [ধারা ১৯৫]

১৭ শ্রমিক বা কর্মচারীর পড়্গে অসৎ আচরণ কি?
(1)    মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গের বিনা অনুমতিতে কোন শ্রমিক তার কর্মসময়ের মধ্যে কোন ট্রেড ইউনিয়ন এর কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকবে না;
২.(ক) কোন শ্রমিক বা শ্রমিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ইউনিয়নের পড়্গে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কোন শ্রমিককে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য অথবা না হওয়ার জন্য অথবা উক্ত পদে বহাল থাকার জন্য অথবা উহা হতে বিরত থাকার জন্য ভীতি প্রদর্শন করবে না;
(খ) কোন শ্রমিক বা শ্রমিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ইউনিয়নের পড়্গে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কোন শ্রমিককে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে কোন সুযোগ দিয়ে অথবা সুযোগ দেয়ার প্রসত্মাব করে অথবা তার জন্য সুযোগ সংগ্রহ করে অথবা সংগ্রহ করার প্রসত্মাব দিয়ে তাকে কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হতে বিরত রাখার জন্য অথবা উক্ত পদ ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রলুদ্ধ করবে না;
(গ) কোন শ্রমিক বা শ্রমিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ইউনিয়নের পড়্গে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক, শারিরীক আঘাত, পানি, শক্তি বা টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করে অথবা অন্য কোন পন্থা Aej¤^b করে কোন শ্রমিককে কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলে চাঁদা প্রদান করার জন্য বা না করার জন্য বাধ্য করবে না বা বাধ্য করার চেষ্টা করবে না;
(ঘ) কোন শ্রমিক বা শ্রমিকগণের ট্রেড ইউনিয়ন অথবা ইউনিয়নের পড়্গে ভারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক বা উহা হতে উচ্ছেদ, বেদখল, হামলা, শারিরীক আঘাত, পানি, শক্তি এবং টেলিফোন সুবিধা বিচ্ছিন্ন করে অথবা অন্য কোন পন্থা Aej¤^b করে কোন মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গকে কোন নিষ্পত্তিনামায় দসত্মখত করতে অথবা কোন দাবী গ্রহণ করতে বা মেনে নিতে বাধ্য করবে না বা বাধ্য করার চেষ্টা করবে না;
(ঙ) কোন বেআইনী ধর্মঘট অথবা ঢিমে তালে কাজ শুরম্ন করবে না বা চালু রাখবে না অথবা উহাতে অংশগ্রহণ করার জন্য কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করবে না;
(চ) কোন ট্রেড ইউনিয়নের কোন দাবী অথবা উহার লড়্গ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কোন ঘেরাও, পরিবহণ অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি অথবা কোন সম্পত্তির ধ্বংস সাধন করবে না;
(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন উহার কর্মকর্তা বা উহার পড়্গে নিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে অবৈধ প্রভাব, ভীতি প্রদর্শন, মিথ্যা পরিচয় অথবা ঘুষ দ্বারা শ্রম আইনের ধারা ২০২ এর অধীন অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচনে হসত্মড়্গেপ করলে, ইহা উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের পড়্গে অসৎ শ্রম আচরণ হবে।
                                                                                                                         [ধারা ১৯৬]

১৮ অসৎ শ্রম আচরণের দন্ড কি?
(1)    কোন ব্যক্তি ধারা ১৯৫ এর কোন বিধান লংঘন করলে তিনি ২(দুই) বৎসর পর্যনত্ম কারাদন্ডে অথবা দশ হাজার টাকা মাত্র অর্থ দন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবে
(2)   কোন শ্রমিক ধারা ১৯৬ এর কোন বিধান ভঙ্গ করলে, তিনি ১(এক) বৎসর পর্যনত্ম কারাদন্ডে অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যনত্ম অর্থ দন্ডে অথবা উভয় দন্ডেই দন্ডনীয় হবে
(3)          কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা কোন শ্রমিক ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তি, ধারা ১৯৬ এর কোন বিধান ভঙ্গ করলে, তিনি ২(দুই) বৎসর পর্যনত্ম কারাদন্ডে অথবা দশ হাজার টাকা পর্যনত্ম অর্থ দন্ডে অথবা উভয় দন্ডেই দন্ডনীয় হবে
                                                                                                                             [ধারা ২৯১]
১৯ ট্রেড ইউনিয়নের যেকোন কর্মকর্তাকে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ কর্তৃক বদলীর ড়্গেত্রে করণীয় কি?
শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৮৭ এবং শিল্প সর্ম্পক অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ৪৭(খ) এর বিধান অনুযায়ী কোন ট্রেড ইউনিয়নের সকল কর্মকর্তাকে তার সম্মতি ব্যতিরেকে এক স্থান হতে অন্য স্থানে অথবা এক জেলা হতে অন্য জেলায় বদলী করা যাবে না
টীকা এ বিধানের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকর্তাকে তার ইচ্ছার বিরম্নদ্ধে এক স্থান হতে অন্য স্থানে বদলী করার মাধ্যমে তার ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকলাপের জন্য তাকে হয়রানি না করা হয় এর ব্যবস্থা করা। এ ধারা লংঘনের ড়্গেত্রে, একজন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকর্তা উপরোক্ত আইনের ২১৩ ধারা এবং শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশের ৩৪ ধারায় শ্রম আদালতে আবেদন করতে পারবে এবং শ্রম আদালত এ অধ্যাদেশের ৬৪ ধারার বিধান মতে অপরাধ আমলে নিতে পারবে।
২০। শ্রম আদালতে আবেদন করার পদ্ধতি বা অধিকার কাদের থাকে?
শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ২১৩ অনুযায়ী কোন যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি অথবা কোন মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপড়্গ অথবা কোন শ্রমিক এই আইন বা কোন রোয়েদাদ বা কোন নিষ্পত্তি বা চুক্তির অধীন বা দ্বারা নিশ্চিত বা প্রদত্ত বা ¯^xK…Z কোন অধিকার প্রয়োগের বা কার্যকরী করার জন্য শ্রম আদালতে দরখাসত্ম করতে পারবে।
টীকা  এটা পরিস্কার যে, শ্রমিকের অধিকার কার্যকর করার জন্য উপরোক্ত আইনের ২১৩ ধারা ও শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ এর ৩৪ ধারায় শ্রমিক নিজেই শুধুমাত্র আবেদন করার জন্য যোগ্য, তার ইউনিয়ন নয়। একই ভাবে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধির আইন দ্বারা প্রদত্ত বা অর্জিত কোন অধিকার কার্যকরী করার জন্য কোন শ্রমিক বা একজন মালিক আবেদন করতে পারবে না।

 বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন (ট্রেড ইউনিয়ন রেজিঃ নং-বি-২০৩১) এর ইতিহাস
ব্রিটিশ-ভারত শাসনামল হতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগে কর্মচারী ইউনিয়ন এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। তৎকালীন ইউনিয়নটি ছিল শ্রেণী ভিত্তিক একটি ইউনিয়ন, যার নাম ছিল “বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও নিম্নবেতন ভুগী কর্মচারী ইউনিয়ন”। তৎকালীন কমিউনিকেশন মিনিস্ট্রি’র অনুমোদন ছিল এবং একটি রেজিঃ b¤^i ছিল (যা জানা নাই)। পাকিস্থান আমলে ১৯৬৬ সালে ডাক বিভাগের তৎকালীন ডিজি মহোদয় এর একটি সাবসিডিয়ারী ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী “অল পাকিস্থান পোস্ট অফিস ইউনিয়ন” নামে ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীদের একটি ইউনিয়ন গঠিত হয়। যা ¯^vaxbZvi পর “বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারী ইউনিয়ন” নামে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৬৯ সালে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রানত্ম সুনির্দিষ্ট আইন শিল্প সর্ম্পক অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ জারি করা হয়। আইনে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন পরিচালনার ড়্গমতা অধিকার থাকা সত্বেও অত্র প্রতিষ্ঠানে এখনও নিয়ম লংঘন করে নিম্নলিখিত কর্মচারী সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
(1)     সুপারিনটেনডেন্ট ও ইন্সপেক্টর এসোসিয়েশন
(2)     জেলা-উপজেলা পোস্টমাস্টার ও এইচ.এস.জি/এল.এস.জি এসোসিয়েশন
(3)     ডাক অধিদপ্তর ৩য় শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন
(4)     পিএমজি অফিস ৩য় শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন
(5)     ডাক জীবনবীমা কর্মচারী ফেডারেশন
(6)     বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারী ইউনিয়ন
(7)     বাংলাদেশ আর.এম.এস ৩য় শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন
(8)     পোস্টাল প্রিন্টিং প্রেস কর্মচারী ইউনিয়ন
(9)     ডাক অধিদপ্তর ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন
(১০) পিএমজি অফিস ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়ন
(১১) পি.এল.আই ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ফেডারেশন।

শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর অধীনে রেজিষ্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ ডাক বিভাগে নিম্নবর্ণিত ৪টি ট্রেড ইউনিয়ন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যথাঃ
(1)     বাংলাদেশ পোস্টাল (ই.ডি) কর্মচারী ইউনিয়ন, রেজিঃ নং-বি-১৯৩৮,    নিবন্ধনের তারিখঃ ১৮/০৫/১৯৯১
(2)     বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী পরিষদ, রেজিঃ নং-বি-২০৩১,                 নিবন্ধনের তারিখঃ ০২/১১/১৯৯৮
(3)     বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও নিম্নবেতনভুগী কর্মচারী ইউনিয়ন, রেজিঃ নং-বি-২১০৪  নিবন্ধনের ত ারিখঃ ২৭/০৪/২০০৪
(4)  বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও নিম্নবেতনভোগী ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন, রেজিঃ নং-বি-২১২৯    নিবন্ধনের তারিখঃ ১৪/১১/২০০৬

সংশোধিত নামঃ বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন

প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, কল্যাণ ও ¯^v_© রড়্গার লড়্গ্যে একটি আইনগত বৈধ সংগঠন এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারী ইউনিয়ন পরিচালনায় আইনগত কোন প্রকার অনুমোদন খুঁজে না পাওয়ায়, শ্রম পরিদপ্তরের পরামর্শ এবং অত্র সংগঠনের সার্কেল ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাদের সাথে আলোচনা ও পরামর্শ এবং কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠকের চূড়ানত্ম সিদ্ধানত্ম মোতাবেক এবং সাংগঠনিক লড়্গ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে মিল থাকায় “বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী পরিষদ (বি-২০৩১)” এবং বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারী ইউনিয়ন ট্রেড ইউনিয়ন পস্নাটফরমে একাত্ম হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে গত ০৩/০৭/২০১৪ খ্রি. তারিখে শ্রম পরিচালক, শ্রম পরিদপ্তর কর্তৃক সংগঠনের সংশোধিত নাম অনুমোদিত হয়ে “বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-বি-২০৩১)” হিসেবে এর যাত্রা শুরম্ন করেছে। 

ট্রেড ইউনিয়ন পস্নাটফরমে যোগদান ও একাত্ম হওয়ার পেছনে কারণ কি কি?

(1)     আমরা বিভিন্ন পোস্ট অফিসে কর্মরত ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী এবং আমাদের দ্বারা গঠিত বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারী ইউনিয়ন-কে পরিচালনায় আইনগত কোন অনুমোদন খুঁজে না পাওয়া, আইনগত ভিত্তিহীন কাগজের ইউনিয়ন বা এসোসিয়েশন এর দ্বারা কর্মচারীদের ¯^v_© রড়্গা এবং কল্যাণ করা কখনই সম্ভব নয় ২০০৯ সালের পর হতে অত্র সংগঠনের ডেড হর্সে পরিণত হওয়ার করম্নণ ইতিহাসই বর্ণিত বক্তব্যের ¯^-c‡ÿ বাসত্মব উদাহরণ;

(2)     কর্মচারী ইউনিয়নের যে সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ দীর্ঘদিন যাবৎ সংগঠন, এর গঠনতন্ত্র এবং নিজেদের ন্যায্য অধিকার প্রয়োগ প্রক্রিয়াকে অড়্গুন্ন রাখার জন্য আইনীসহ সকল পর্যায়ে লড়াই চালিয়ে আসছে তাদেরসহ তাদের অনুসারী অনেক কর্মচারীকেই, সাংগঠনিক ড়্গেত্রে দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যমান অরাজক, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগ ও মামলা চলমান থাকার সুযোগ নিয়ে প্রশাসন কর্তৃক মানসিক বা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নানা উপায়ে হয়রানি করা হচ্ছে সাংগঠনিক ভাবে বিশৃঙ্খল অবস্থায় থাকায় ভবিষ্যতে হয়রানির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে;

(3)     প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত, ¯^v_© রড়্গার লড়্গ্যে একটি আইনগত বৈধ সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব, নিজ সংগঠনের আইনগত কোন অনুমোদন খুঁজে না পাওয়া এবং নিকট ভবিষ্যতে ডাক বিভাগে সি.বি.এ নির্ধারণী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অনিবন্ধিত সংগঠনগুলোর অসিত্মত্ব হুমকির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা রয়েছে তাই আইনগত বৈধতা নিয়ে সংগঠন পরিচালনা এখন সময়ের দাবী;

(4)     বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীগণ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন যোগদান করার অধিকারী হওয়ায়;

(5)     একটি প্রতিষ্ঠানে ৩টির বেশি ট্রেড ইউনিয়ন থাকতে পারবে না, আইনগত বিধি নিষেধ থাকায় নতুন করে ¯^Zš¿ ভাবে রেজিষ্ট্রেশন না পাওয়ার সীমাবদ্ধতা থাকায় যদিও শ্রম আইন লংঘনে ডাক বিভাগে ৪টি রেজিষ্টার্ড ইউনিয়ন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে;

(6)     আইন অনুযায়ী রেজিষ্ট্রেশন ব্যতিত কোন ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ না থাকায়;

(7)     অত্র ইউনিয়নের মোট সদস্য সংখ্যা হবে আনুমানিক সর্বোচ্চ ৩,৫০০-৪,০০০জন এবং প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত বা কর্মরত মোট কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩৯,০০০জন। কোন ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন করার ড়্গেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা নিযুক্ত মোট কর্মচারীর শতকরা ৩০ ভাগকে সদস্য হতে হবে শর্ত পূরণ করা সম্ভব ছিল না;

(8)     বাংলাদেশ পোস্টাল (ই.ডি) কর্মচারী ইউনিয়ন  (রেজিঃ নং-১৯৩৮)-সংগঠনের নাম হতে সুস্পষ্ট যে, ইহা একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর কর্মচারীদের ইউনিয়ন।

(9)     বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও নিম্নবেতনভুক কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-বি-২১০৪), জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অনত্মর্ভূক্ত। উক্ত সংগঠনের নাম হতে সুস্পষ্ট যে, ইহাও নির্দিষ্ট শ্রেণীর ইহার নিচের শ্রেণীর কর্মচারীদের অর্থাৎ পোস্টম্যান, প্যাকার, মেইল ক্যারিয়ার, রানার ইত্যাদি কর্মচারীদের ইউনিয়ন তাছাড়া প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারী হিসেবে বাধ্যবাধকতা থাকায় রাজনৈতিক দলাদলি বা আশ্রয় এর সুযোগ নাই

(১০) বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও নিম্নবেতনভোগী ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন সংশোধিত নাম বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন           (রেজিঃ নং-২১২৯), জাতীয় শ্রমিক লীগ এর অনত্মর্ভূ্‌ক্ত। উক্ত সংগঠনটির পূর্বকার নামের ধারাবাহিকতায় সুস্পষ্ট যে, একটি নির্দিষ্ট           শ্রেণীর এবং ইহার নিচের শ্রেণীর কর্মচারীদের অর্থাৎ পোস্টম্যান, প্যাকার, মেইল ক্যারিয়ার, রানার ইত্যাদি কর্মচারীদের ইউনিয়ন         তাছাড়া প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারী হিসেবে বাধ্যবাধকতা থাকায় রাজনৈতিক দলাদলি বা আশ্রয় এর সুযোগ নাই;

(১১) বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-বি-২০৩১), ডাক বিভাগে কর্মরত সকল শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য উন্মুক্ত। ইহা কোন      নির্দিষ্ট শ্রেণীর কর্মচারীদের সংগঠন নয় ফলে ডাক বিভাগে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারী সকল শ্রমিক-কর্মচারীর এই সংগঠনের সদস্য হওয়ার আইনগত সুযোগ রয়েছে;

(১২) বাংলাদেশ ডাক বিভাগে যৌথ দরকষাকষি (সি.বি.এ) নির্ধারণী নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ই্‌উনিয়ন (রেজিঃ নং-বি-  ২০৩১) কর্তৃক মহামান্য হাইকোর্টে দায়েরকৃত রীট মামলার রায়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মচারীকে আলাদা আলাদা          ভাবে শ্রেণী বিভক্ত না করে শুধুমাত্র “Workers of Postal Department”  হিসেবে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়ায়;

(১৩) অত্র প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় নিয়মে আমরা স্থায়ী-অস্থায়ী নন-গেজেটেড যে পদেই কর্মরত থাকি না কেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনে       এরা সকলেই “Workers” হিসেবে গণ্য। আর তাইতো ডাক বিভাগের আসন্ন সি.বি.এ নির্ধারণী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শ্রম         পরিদপ্তর কর্তৃক অত্র প্রতিষ্ঠানের উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক কর্মচারীকে ভোটার তালিকায় নাম অনত্মর্ভূক্ত করা হয়েছে;

(১৪) কর্মড়্গেত্রের আরোপিত/অর্জিত পরিচয়, কখনই একটি মানুষের সত্যিকার বা পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নয় তাছাড়া ভ্রাতৃসঙ্ঘে সকলেই       সমান

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ট্রেড ইউনিয়ন পস্নাটফরমে যোগদান এবং একাত্ম হওয়ার বিষয়টি সময়ের দাবী মেটাতে পেরেছে বলে বিশ্বাস করছি। আগামী দিনে এ সিদ্ধানেত্মর সঠিকতাকে মূল্যায়ন করার সুযোগ থাকছে। কর্মচারী সংগঠনকে ভবিষ্যতে অধিকতর কার্যকর, গতিশীল ও শক্তিশালী করার ড়্গেত্রে ঐক্যবদ্ধতা শৃঙ্খলার কোন বিকল্প নাই তাই আসুন সকল প্রকার বিভেদ ভুলে, দৃষ্টিভঙ্গীর সকল ভুল বিভ্রানিত্ম কাটিয়ে বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন এর পতাকাতলে সমবেত হই।  -----

Related News

No comments:

Leave a Reply