কামাল শাহরিয়ারঃ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৬ অগণতান্ত্রিক। এই আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণ সমিতি গঠন কখনও ট্রেড ইউনিয়নের বিকল্প হতে পারে না। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচিতে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৬’ মন্ত্রিসভায় পাস হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, আইএলও কনভেনশন ’৮৭, ’৯৮ অনুযায়ী ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৬ পুর্ণমূল্যায়ন ও বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী তৈরি করতে শ্রমিক, মালিক, সরকার সমন্বয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় কমিটি প্রকৃত শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে তাকে গণতান্ত্রিক ও শ্রম বান্ধব করতে হবে। দেশে ইপিজেডসমূহে কর্মরত শ্রমিকদের আইনী সুরক্ষা ও ট্রেড ইউনিয়নের আওতায় আনার দাবি দীর্ঘদিনের। এটি আইএলও কনভেনশন ’৮৭ ও ’৯৮ অনুসারে ও বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী হতে হবে। তারা বলেন, কিন্তু নানা অযুহাতে তা হতে দেয়া হয়নি। অথচ পূর্ব ঘোষণা কিংবা কোনো শ্রমিক প্রতিনিধি, আইএলও, সরকার সংশ্লিষ্ট ত্রিপক্ষীয় কমিটি কোনো আলোচনা ছাড়াই মন্ত্রিপরিষদে এই সিদ্ধান্ত পাস করেছে। এটা দুর্ভাগ্য ও লজ্জাজনক। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি কামরুল আহসান। উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সংহতি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি আক্তার, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, দোকান ও কর্মচারি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল হাসান বাবুল, ঢাকা রুটি-বিস্কুট ও বেকারি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর প্রমুখ।
No comments: